Skip to content

ভোটের আগে জোর ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার! প্রাথমিকে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার। প্রাথমিকে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলো তৃণমূল সরকার।এ রাজ্যের এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কয়েকশো পার্থী কে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জয় কল ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা 2010 সালের 31 শে ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তারা একমাত্র এই চাকরির জন্য যোগ্য হবে। প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, জয়দ্বীপ মজুমদার, সুদীপ্ত দাশগুপ্তেরা কোর্টে জানান, 2006 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়।

 

এরপর পরীক্ষা নেওয়া হয় 2009 সালে। আর তাদের মক্কেলরা এই পরীক্ষাতে বসেন। পরীক্ষার সময় সকল প্রার্থীদের এক বছরের পিপিটিআই প্রশিক্ষণ ছিল। কিন্তু প্রশিক্ষণের জন্য তাদের প্রাপ্ত 22 নম্বর দেওয়া হয়নি। এই কারণে তারা মেধাতালিকায় পিছিয়ে পড়েছিল এবং নাম ছিল না তাদের। সেই সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিলেন, এক বছরের যে পিপিটিআই কোর্সটি ছিল তার শংসাপত্রে বৈধতা ছিল না। ওই প্রার্থীরাই 2010 সালে হাইকোর্টে মামলা করেন।বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার জানিয়েছেন, শংসাপত্র বৈধ নয়। এরপর প্রার্থীরা বিচারপতি অমিত তালুকদার এর ডিভিশন বেঞ্চে যান। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেন যে, প্রশিক্ষণের জন্য ধার্য্য করা 22 নম্বর পরীক্ষার্থীদের দিতে হবে। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের ওপর চ্যালেঞ্জ করে 2012 সালে রাজ্য সুপ্রিমকোর্টে দ্বারস্থ হন। কিন্তু 2015 সালে মামলা তুলে নেওয়া হয়।

 

 


চাকরি না পেয়ে ওই প্রার্থীরা ফের মামলা করে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে। এই বিচার পতি নির্দেশ দেন যে,ঐ সকল প্রার্থীদের 22 নম্বর দিয়ে ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। রাজ্য আবার এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের 2016 সালে বিচারপতি সৌমিত্র পালের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়। এই ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি বসাকের আবেদন খারিজ করে দেয়। ওই বছরেই সুপ্রিমকোর্টে দ্বারস্থ হন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থীরা। এরপর রাজ্য শুনানিতে জানাই, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ কোন শূন্য পদ নেই। তাই মামলাকারীদের এখন চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে এক বছরের শংসাপত্রটির বৈধতা নেই।

 

বিকাশ বাবু জানান যে, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যারা 2010 সালের 31 শে ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তাদেরকে 22 নম্বর দিয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান যে,” আগে দেখি আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে। না- জেনে আমি কোন মন্তব্য করব না।”
আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল পিটিটিআই এর স্টুডেন্ট ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই এ বিষয়ে বলেন, ” এই রায় কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বঞ্চিত প্রার্থীদেরও নিয়োগ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষক পদে।”