আজ সকালে শেয়ারবাজার খুলতেই জানা গেল ভারতীয় মুদ্রার দাম আরো ২৫ পয়সা কমে গেছে। এই মুহূর্তে ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৮১.০৯ টাকা যা সর্বকালের রেকর্ড। ভারতীয় টাকার মূল্য এর আগে কোনদিন এত নিচে নেমে যায়নি। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার বন্ধ হওয়ার আগে টাকার মূল্য ছিল ৮০.৮৬ টাকা। কিন্তু আজ সকালেই তা এক ঝটকায় ২৫ পয়সা কমে গেল।
কিন্তু কেন হঠাৎ করে এত টাকার পতন হয়ে গেল? বিদেশি মুদ্রা ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই পতনের জন্য দায়ী আমেরিকার অর্থনৈতিক নীতি এবং ইউক্রেনের বৃদ্ধি হওয়া সংকট। শুধু তাই নয়, এর পেছনে রয়েছে আরও একাধিক কারণ। মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে ভারতীয় শেয়ার বাজারের পতন ঘটেছে।
ইউক্রেন সংকটে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রুড ওয়েলের দাম,যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ভারতীয় মুদ্রায়। ব্যবসায়ীরা এখন শুধুমাত্র বসে রয়েছেন জাপান এবং ইংল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে। এইচডি এফসি সিকিউরিটির গবেষণা বিশ্লেষক দিলীপ পারমার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের এই নীতি এবং রাশিয়া- ইউক্রেন শঙ্কটের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে মার্কিন ডলারের মূল্য। ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই শক্তিশালী তাই মুদ্রার এই পতন খুব তাড়াতাড়ি সামলে উঠবে ভারত।
এই প্রসঙ্গে মোতিলাল অসয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের বিশ্লেষক গৌরাঙ্গ সোমিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৭৫ শতাংশ। এর ফলে ভারতীয় টাকা নিম্নমুখী হয়েছে। বিগত ২০ বছরের সবথেকে উচ্চতায় পৌঁছে গেল মার্কিন ডলারের মূল্য এই প্রথম।
এখন প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় টাকার এই পতনে সাধারণ মানুষ কতখানি প্রভাবিত হবে? এই প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, এই প্রথমে সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের জীবনে কারণ আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেকটাই বেশি। দেশের আশি শতাংশ জ্বালানি তেল দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয় ফলে দাম বেড়ে যাবে জ্বালানি তেলের। স্বাভাবিকভাবেই তেলের দাম বেড়ে গেলে নিত্যদিনের সরকারি জিনিসের দাম ও আকাশ ছোঁয়া হবে বলে মনে করছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।