দেশে করোনা সংক্রমণের গতিকে মন্থন করতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে 21 দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দেশের জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার দিন লকডাউন এর পঞ্চম দিনে দেখা দিল দিল্লির আনন্দ বিহার বাস টার্মিনালের উপচে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিক দিন মজুরদের ভীড় যাদের মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে আসা শ্রমিকদের সংখ্যা।
দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তে দেশের বিভিন্ন শহরে থাকা শ্রমিকেরা দলে দলে ঘরে ফিরছেন।তবে যেমনটা আমরা জানি এই মুহূর্তে ট্রেন সহ অন্যান্য যে পরিবহন ব্যবস্থা গুলি রয়েছে সেগুলি বন্ধ তাই লকডাউনে এরকম এক অবস্থায় কোন রাস্তা না পেয়ে কয়েকশো কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন শ্রমিকেরা।আর এরকম এক অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে বেরিয়ে এল এক তথ্য যেখানে সমস্ত রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে এই শ্রমিকদের জন্য খাবার, জল, আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে।
Delhi: Huge number of migrant workers queue up at Uttam Nagar Bus Terminal waiting for buses going to Anand Vihar Bus Terminal. From Anand Vihar Bus Terminal, they will be boarding buses for their respective home towns and villages. #CoronvirusLockdown pic.twitter.com/HNkQLq43g1
— ANI (@ANI) March 28, 2020
তবে হঠাৎ করে কেন বেরিয়ে পড়ল এরকম লকডাউন হবার পরও শ্রমিকেরা কেনো বেরিয়ে পড়ল রাস্তায় তার উত্তরে জানতে পারা গেছে, করোনা রুখতে লকডাউন শুরু হতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকদের ঘর থেকে বের করে দেয় সেখানকার মালিকেরা এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে একাধিক জায়গা থেকে।আর দিল্লী মুম্বাই শহর সবজায়গাতেই একইরকম অবস্থা আর এরকম অবস্থায় শ্রমিকেরা কোন উপায় না পেয়ে ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তবে পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় পায়ে 100 কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়েছেন তারা।
দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ বিহার মুখে বহু মানুষ জাতীয় সড়ক পথে হেঁটে চলছেন।বর্তমানে এরকম এক পরিস্থিতিতে গতকাল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি তরফ থেকে অধিকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক ধরে যারা ফিরছেন তাদের খাবার এবং জলের ব্যবস্থা করতে হবে। আর অন্যদিকে শনিবার দিন উত্তরপ্রদেশের সরকার তাদের রাজ্য শ্রমিকদের জন্য এক হাজার বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সীমান্ত থেকে পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের নিজস্ব গ্রামে, পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে জল এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
https://twitter.com/ANINewsUP/status/1243873972464144389?s=19
অন্যদিকে কেজরিওয়ালের সরকার ও 100 টি বাসের ব্যবস্থা করেছে দিল্লি থেকে ভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবার জন্য রাজস্থান হরিয়ানা উত্তরপ্রদেশ এইসব জায়গার শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য।তবে গত শুক্রবার দিন কেজরিওয়াল শ্রমিকদের নিজের জায়গাতে থাকার অনুরোধ করেছিলেন এবং বলা হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে 4 লাখ শ্রমিক দের জন্য খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা করা হবে তাই ঘর ছাড়বেন না এমনটাই বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ওষুধ তৈরি হয়নি তাই দেশজুড়ে এই ভাইরাস যাতে আর না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য লকডাউন ছাড়া সরকারের কাছে করোনা রোখার আর কোনো রাস্তা নেই।