বর্তমানে ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে চলছে একাধিক সংঘাত। ইতিমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে ফাইটার বিমান ও। আর তাছাড়া দিল্লিতে করা হচ্ছে দফায় দফায় বৈঠক। আর আজকে ভারত-চীন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ডাকা হয়েছিল একটি সর্বদলীয় বৈঠকের। যেখানে আগামী দিনে চীনের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে ছিল এই বৈঠকটি। অন্যান্য দলের ন্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চীনের তীব্র নিন্দা করে জানান ‘চীন গণতান্ত্রিক দেশ না, ওঁরা স্বৈরাচারী, ওঁরা সেটাই করে যেটা ওঁদের ইচ্ছে হয়।
আর আমরা সবাই একসাথে মিলেমিশে কাজ করি। ভারত জিতবে, চীন হারবে। একতার সাথে বলুন, একতার সাথে চিন্তা করুন, একতার সাথে কাজ করুন।” অর্থাৎ এই বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আমরা সরকারের পাশে আছি।এখানেই শেষ নয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই দিন আরও বলেন যে যাতে টেলিকম, অ্যাভিয়েশন বা রেলের চীনকে ঢুকতে না দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘হয়তো আমরা প্রথমদিকে একটু অসুবিধেয় পড়বো, তবে চীনকে ঢুকতে দেব না।’ তবে অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আজ ডাকা এই বৈঠকের প্রসঙ্গে বলেন এই সর্বদলীয় বৈঠক অনেক দেরি করে ডাকা হয়েছে সরকারের উচিত ছিল এটি আরো আগে ডাকার।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অনেক প্রশ্ন আছে আমাদেরকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।একথা জানিয়ে উনি সরকারের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেন চীন কীভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল?আর সরকারই বা কখন কীভাবে চীনের এই কাজের কথা জানতে পারে? সরকারের কাছে কী স্যটেলাইট ইমেজ নেই? সরকারের কাছে কী চীনের গতিবিধি নিয়ে কোন গোয়েন্দা তথ্য ছিল না? এরকম একাধিক প্রশ্ন তোলেন এই দিন তিনি এই বৈঠকে।
TMC leader and West Bengal CM Mamata Banerjee at all- party meeting: All-party meeting is a good message for the nation. Shows that we are united behind our Jawans. TMC strongly in solidarity with the government (source) pic.twitter.com/OhJrk7OD2U
— ANI (@ANI) June 19, 2020
প্রসঙ্গত, আজ 45 বছর বাদে প্রথম ভারত-চীন সীমান্তে শহীদ হলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানেরা। যেখানে এক আর্মি অফিসার সহ শহীদ হয়েছেন মোট 20 জন ভারতীয় জওয়ান।তাই স্বাভাবিকভাবেই এরকম এক পরিস্থিতিতে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা দেশজুড়ে, সকল ভারতবাসী চাইছে চীনকে এর উপযুক্ত জবাব দিতে।এমন কী শহীদ হওয়া জওয়ানদের পরিবারেও এমনটাই দাবি, তারাও চাইছে ভারত যেন চীনকে এর উপযুক্ত জবাব দিক। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে আর্মি অফিসার স্তরে বৈঠক হচ্ছে কিন্তু তা সত্ত্বেও পিছু হটছে না চীন।
অন্যদিকে, জুনের 23 তারিখ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বসছে রাশিয়া-ভারত-চীন।আর এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব নিশ্চিত করেছেন, দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই এবং রাশিয়ার মন্ত্রী সেরগেই লাভরভ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষের জন্য বৈঠক ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।