শুভেন্দু অধিকারী,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সমস্ত বড় তৃণমূল নেতারা বলতে শুরু করে দিয়েছে এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কে তারা দেখতে চান। তবে এবার রথের চাকা উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে দিলো আগামী শনিবার অর্থাৎ গতকাল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতকাল মমতা বন্দোপাধ্যায় এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন যে মমতাই হতে পারে আগামী বাঙালি প্রধানমন্ত্রী। যা শুনে বাংলায় বিজেপি কেন গোটা দিল্লির বিজেপি নেতারা চমকে গেলেন। যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায় ৫ ই জানুয়ারিকে নিজের জন্মদিন হিসেবে পালন করে না এর আগে অনেক তৃণমূল নেতা যখন তাকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন তার জন্য খেতে হয়েছিল তাদের ধমক।
তবে যাই হোক দিলীপ ঘোষ বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থ শরীর ও সফল জীবনের কামনা করে বলেন, আমরা এর আগে জ্যোতিবাবুকে সিপিএম এর কারণে ফসকে ফেলেছি। তবে এর আগে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন এখন একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই নাম দেখতে চান। এই দিন সাংবাদিক বৈঠকে তার কথা বলার ধরণ দেখে কেউ বলতে পারছেন না তিনি রসিকতা করেছেন না সত্যিই তিনি বাঙ্গালী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখতে চান। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে দিলীপ বাবু নিতান্তই শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এ কথাগুলি বলেছেন। তবে মজার ব্যাপার একটাই যে দিলীপ বাবুর এই কথা শুনে তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি এ কথাটি বলতে পারেন।
তবে দিলীপ ঘোষের এ মন্তব্য শুনে বাম- কংগ্রেস পন্থী নেতারা বলছেন সবই সেটিং। তাদের মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাভাবিক বন্ধু সেই বাজপেয়ীর আমল থেকেই তার সঙ্গে রয়েছে সুসম্পর্ক। রেল,কয়লা এমনকী দফতরবিহীন মন্ত্রীও থেকেছেন তিনি। তবে দিলিপ বাবুর এই কথায় রাজ্য বিজেপি নেতারা অনেকটাই হতাশ হয়েছে। তারা মনে করছেন লোকসভা ভোটের আগে কি ইঙ্গিত দিতে চাইছেন দিলীপ বাবু আমাদেরকে। বিরোধী রাজনীতি কী ভাবে করতে হয় তা বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে এক বার শিখে আসুন রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু। দেখুন সেই ভিডিওটি:—-