যে দুটি মানুষের পাশে থাকায় নতুনরা বলিউডে জায়গা করে নিতে পারেন সেই দুটি মানুষ হলেন করন জোহর এবং সালমান খান। সালমান খানের পৃষ্ঠপোষকতায় যেমন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে গেছেন তেমন সালমান খানের ঘৃণার পাত্র হলে সেই মানুষের ক্যারিয়ার নিমেষে শেষ হয়ে যায়। ভাইজানের প্রতিপত্তি কতখানি তা বোঝা যায় সম্প্রতি একটি ঘটনা শুনে। রাখি সাওয়ান্তের প্রেমিক আদিল খান বর্তমানে বিয়ে করতে অস্বীকার করে দিয়েছিলেন রাখিকে। কিন্তু ভাইজানের একটা ফোন আর পুরোপুরি পাল্টে গেল গোটা দৃশ্য।
ভাইজানের পৃষ্ঠপোষকতায় যে সমস্ত অভিনেত্রীরা নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন বলিউডে তাদের মধ্যে একজন হলেন জারিন খান। জারিন খানের খ্যাতনামা হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো অভিনেত্রীকে দেখতে ছিল হুবহু ক্যাটরিনা কাইফের মত। তবে এত বছর বলিউডে কাজ করলেও তেমনভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারেননি তিনি। ক্যারিয়ারের সবথেকে চর্চিত সিনেমা হিট স্টোরি ৩ ছাড়া আর তেমন কোন সিনেমার কথা আমাদের মনে পড়ে না। হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলেগু, পাঞ্জাবি ছবিতে কাজ করলেও সেভাবে কখনোই সাফল্য ধরা দেয় নি অভিনেত্রীর কাছে।
তবে নিজের এই ব্যর্থতার পেছনে নিজের সৌন্দর্যকেই দায়ী করেন জারিন খান। হুবহু ক্যাটরিনা কাইফের মতো দেখতে হওয়ায় অনেকেই জারিন খানকে দ্বিতীয় ক্যাটরিনা কাইফ বলে মনে করেছিলেন। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ক্যাটরিনা কাইফের মতোই অভিনয় দক্ষতা হবে তাঁর। অনেকে আবার সস্তা ক্যাটরিনা কাইফ বলেও কটাক্ষ করতেন তাঁকে। বারবার ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে এভাবে তুলনায় অবশেষে ক্যারিয়ার শেষ করে দিল জারিন খানের।
View this post on Instagram
সম্প্রতি মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা গেলে অভিনেত্রীকে। হুট করে দেখে চিনতে পারবেন না আপনি। জারিনের শরীরে বেশ ভালোই মেদ জমেছে আর যার ফলে হয়েছে ভোলবদল। তবে এবারেও সেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হল অভিনেত্রীকে। মুম্বাই বিমানবন্দরে যে ছবিটি ফ্রেমবন্দি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী পরে রয়েছেন, নীল রঙের ফ্রক, চোখে রোদ চশমা, খোলা চুল।
কিন্তু এতদিন পর অভিনেত্রীকে দেখে সমাজ মাধ্যমে পড়ে গেল হৈচৈ। কেউ বললেন, হঠাৎ এভাবে মোটা তিনি কিভাবে হয়ে গেলেন? কেউ বললেন, মোটা অভিনেত্রীর ব্যাপার এই আলাদা, ওদের সামনে সাইজ জিরো অভিনেত্রীরা কিছুই নয়।