Skip to content

স্কুল বাসে এক ছাত্রীর হটাৎ শুরু হয়ে গেল পিরিয়ড , তখন এক ছাত্র যা করলো …..

আমরা আপনাদের রোজ অনেক কিছুই খবর দিয়ে থাকি। আর এই সকল খবরের মধ্যে মাঝে মাঝে এমন কিছু খবর সামনে চলে আসে যেগুলি আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। যে খবর গুলি পড়লে মনে হয় মানুষের মধ্যে সব মন্যুষত্ব শেষ হয়ে যায় নি। এখনও পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে মন্যুষত্ব বেঁচে আছে।আমাদের সমাজে এখন যদি কোনো মহিলা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয় তাহলে সমাজের লোকজন তাকে খুব ভালো ভাবেই সেবাযত্ন করেন। আজ এমনই এক ঘটনার কথা আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরবো যেটা শোনার পর আপনি সত্যি অবাক হয়ে যাবেন এবং বলবেন যে সত্যি সেই মাকে ধান্যবাদ যে এমন সুন্দর শিক্ষা দিয়েছেন তার ছেলেকে।আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই খবর। এদিন একটি স্কুল ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুল যাবার জন্য বের হয়েছিল। তারপর সে এসে স্কুল বাসে চাপে স্কুল যাবার জন্য। কিন্তু স্কুল যাবার পথে বাসে বসে আর বসেই তার প্রিয়িয়ড শুরু হয়ে যায়। তার ফলে ক্রমাগত রক্ত ক্ষরন হওয়া শুরু হয়। সেই সময় বাসে অনেক ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল তাই সেই ছাত্রীটি কিছুটা অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পরে যায়।

সেই ছাত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্ররা সেই সময় সেই পরিস্থিতি লক্ষ্য করে। তারা দেখে যে মেয়েটির খুবই অস্বস্তি হচ্ছে। সেই সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছাত্র বয়েসে কিছুটা বড়ো হবে সে ছাত্রীটির দিকে এগিয়ে যায় এবং তার কাছে থাকা রুমাল টি বের করে ছাত্রীটির হাতে দেন আর বলেন যে আপনি এটা ব্যাবহার করুণ। সেই সময় অচেনা ছাত্রটির কথা শুনে কিছুটা সংকোচবোধ করেন ছাত্রীটি। তখন সেই ছাত্রটি যা বললেন সেটা জানলে আপনি সত্যি অবাক না হয়ে থাকতে পারবেন না। সেই ছাত্রটি তখন বলেন যে আমার বাড়িতেও বোন রয়েছে আপনার মত, আমি বুঝি মেয়েদের শারীরিক কারন গুলি। তাই সংকোচবোধ করবেন না, দাদা হিসাবে আমার এই রুমালটি আপনি ব্যাবহার করুন। তারপর সেই ছাত্রীটি আর কোনো দ্বিধাবোধ না করে সেই রুমালটি কোমরের নীচে বেঁধে নেন। তার ফলে খুব সহজেই মেয়েটি নিজের বাড়ি পৌঁছাতে পারেন। তার আর কোনো অসুবিধা হয় না।

সেই ছাত্রীটি যথারীতি তার বাড়ি যায়,এবং নিজের মা কে এই পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। তার মা সমস্ত ঘটনাটি জানার পর তৃপ্তি পান এবং কৃতজ্ঞতা জানাবার স্কুলের একটি গ্রুপে লিখেন যে, আজ আমার মেয়ে খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু সেই কঠিন পরিস্থিতিতে একজন ভালো মানুষ আমার মেয়ে কে সাহায্য করেছিল আমি সেই ছাত্রটি কে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সেই সাথে এমন সুপুত্র জন্ম দেওয়া জন্মদাত্রী মা কেও জানাতে চাই ভক্তিভরা শ্রদ্ধা।সেই সাথে উনি জানিয়েছেন যে আমি সেই মা কে হাজার বার প্রনাম জানাতে চাই, যে মা নিজের ছেলে কে এতভালো সংস্কার শিখিয়েছেন। আপনার অনেকেই খেয়াল করে থাকবেন যে, সেই ছেলেটিকে নিয়ে স্যোসাল মিডিয়াতেও অনেক আলোচনা হয়েছিল এবং সকলেই খুব নাম করেছেন ছেলেটির এবং তার সংস্কার কে সম্মান জানিয়েছেন। তো বন্ধুরা এই সুন্দর খবরটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট করে।

#অগ্নিপুত্র