আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এটা ভারতেরই একটা অংশ। এখানে পর্যটন করার জন্য দেশবিদেশ থেকে বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন। এটা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে ভারতবর্ষের অন্যতম এক আকর্ষনীয় কেন্দ্র। আর এই স্থানেয় রয়েছে এমন একটা দ্বীপ যেখানে সাধারণ মানুষের যাওয়া নিষেধ। সরকার আইন করে এখানে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের। কারণ এই দ্বীপেই রয়েছে এক আদিবাসী গোষ্ঠী। যাদের সাথে দেশের অন্যান্য সাধারণ মানুষের কোনো যোগাযোগ নেই। সেই আদিবাসীরা সভ্য জগতের থেকে অনেক দূরে রেখেছেন নিজেদের। তারা সাধারণ মানুষ কে নিজেদের শত্রু মনে করেন। তাই সভ্য জগতে আসতে চান না। সেই জন্য তারা যাতে কোনোরকম বিরক্ত না হয় তাই সরকার আইন করে সেইসব দ্বিপে যাওয়া নিষেধ করে দিয়েছেন।কিন্তু সরকারের নিষেধ থাকার সত্ত্বেও সেখানে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছিল এক আমেরিকার যুবক। সে ভারতে এসে লুকিয়ে সেখানে পৌঁছে যান। আর তারপর যা হয় সেটা জানলে আপনার গা শিউরে উঠবে।বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জন এলেন চাউল নামে আমেরিকার এই নাগরিক ভারতে আসেন পর্যটন করার জন্য।
আর ইনি এখানে এসেই আন্দামানে চলে যান এবং সেখানকার মৎস্যজীবীদের ভারতীয় মুদ্রায় 25000 টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেন। মৎস্যজীবীরাও টাকার জন্য তাকে সেখানে পৌঁছে দেন। তিনি সাথে করে নিয়ে যান নানারকম খাবার, মাছ, ফুটবল এবং বাইবেল। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন যে, উনি সেখানে মূলত ধর্ম প্রচার করার জন্য গিয়েছিলেন। তারপর মৎস্যজীবীরা তাকে কিছুদূরে ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন।তার অনেকক্ষণ পরে জন এলেন চাউল আসেন এবং মৎস্যজীবীদের একটি চিঠি দিয়ে আবার ফিরে চলে যান। সেখান থেকেই সবকিছু জানা গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন যে, যখন উনি এসে আমাদের চিঠি দিয়ে যান তখন উনি অনেকেটাই যখম ছিলেন। তারপর সেই চিঠি পরে সবাই জানতে পারেন যে ঠিক কি হয়েছিল সেইদিন।
সেই চিঠিতে লেখা ছিল আমি যখন সেখানে যায় তখন সেই আদিবাসীরা নিজেদের মধ্যে আনন্দ করছিলেন। আমি তাদের দিকে এগিয়ে যেতেই তারা আমাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেন। তাদের মধ্যে একটা বাচ্চা ছেলে আমার দিকে একটা তীর ছুড়ে দেন, সেই তীর এসে আমার পেটে লাগে এবং আমি খুব আঘাত পায়। কিন্তু আমি তাও তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি কিন্তু তারা আমার কোনো কথা না শুনে আমাকে একের পর এক আঘাত করে। আমি কোনো রকমে ফিরে আসি। শুধু এইটুকুই সেখানে লেখা ছিল।তারপরের কথা মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন। উনারা বলেছেন যে, আমরা কিছু সময় পরে দেখি সেই সমস্ত অধিবাসীরা একটা লাশ নিয়ে যাচ্ছেন এবং সেটা নদীতে ফেলে দিয়ে আসেন। কিন্তু সেটাই যে জন এলেন চাউল এব্যাপারে তারা সঠিক তথ্য দিতে পারেন নি।
প্রায় অনেকদিন হয়ে গেলেও ছেলের খোঁজ না পেয়ে শেষে আমেরিকার দূতাবাস কে জানান জনের পরিবার। তারপর আমেরিকার দূতাবাস সেটা ভারতের প্রশাসন কে জানালে এই ব্যাপারটি উঠে আসে। তখনই এই ব্যাপারে সবাই জানতে পারেন।
যদি মনে মনে আপনার এইরকম কোনো চিন্তা থেকে থাকে তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান, এবং নিজের পরিবারের লোকজন খবরটি শেয়ার করে সতর্ক করে দিন।
#অগ্নিপুত্র