Skip to content

পাকিস্তানের এক মহিলা সাংবাদিক যখন অটলজিকে বলেছিলেন “আমাকে বিয়ে করে কাশ্মীর দিয়ে দিন”। তার উত্তরে অটলজি যা বলেছিলেন…

আজ আপনাদের বলব এক মহান ব্যাক্তির আত্মজীবনীর মধ্যে ঘটে যাওয়া একটা খুবই রোমাঞ্চকর ঘটনা নিয়ে। তিনি হলেন আমাদের দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। আমাদের বলতে কোন দ্বিধা হবে না, যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার জীবনের অধিকাংশটাই দেশের কাজে সম্পূর্ণভাবে সমর্পিত করেছিলেন। যদিও তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই তবুও তিনি সমস্ত ভারতবাসীর মনের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন । যে দিনটিতে তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে যান সেই দিনটিতে আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম ,তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা গেছে ‘ইউরিন ইনফেকশন’ হয়েছিল।


অটল বিহারী বাজপেয়ীর মাতার নাম ছিল ‘ কৃষ্ণা দেবী’,এবং পিতার নাম ছিল ‘কৃষ্ণ বিহারি বাজপেয়ী’।
আজ আপনাদের বলবো তার জীবনের এক স্মরনীয় ঘটনা যেটা শুনলে আপনিও হয়তো তার নিয়ে গর্ববোধ করবেন।১৯৯৯ সালে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম পরিবহন পরিষেবা শুরু হয় । তখনকার দিনে লাহোর- অমৃতসর বাস চলাচল শুরু হয় এবং তিনি নিজে বাসে চড়ে প্রথমবার পাকিস্থানে যান। অটলজিকে সেখানে খুব ভালোভাবে স্বাগত জানানো হয় এবং সেখানে তিনি বক্তৃতও দেন।

তাছাড়াও তার বক্তৃতা শুনে প্রসন্ন হয় অনেক সাধারণ মানুষ এবং তিনি সেখানে কটাক্ষ করে বলেন,”তুমি বন্ধু বদলাতে পারো কিন্তু প্রতিবেশী নয়, তুমি ইতিহাস বদলাতে পারো কিন্তু ভূগোল নয় “।আর সেখানেই ঘটে এক হাস্যকর কান্ড । হঠাৎ করে অটলজিকে এক মহিলা রিপোর্টার প্রশ্ন করে বসে আপনি এখনো বিয়ে করেননি কেন? এবং সেই রিপোর্টারটি অটলজির কাছে শর্ত রাখেন, যদি অটোলজি তাকে বিয়ে করতে চান ,তাহলে তাকে কাশ্মীর দিয়ে দিতে হবে বিয়ের পর মুখ দেখার সময়। কিন্তু আপনি শুনলে অবাক হবেন অটলজি উত্তর হিসাবে বলেন ! হ্যাঁ,আমি আপনাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত কিন্তু আমাকে পন বা যৌতুক হিসাবে পুরো পাকিস্তান দিতে হবে। এই কথা শুনে সেখানে হাস্যকর এক মুহুর্তের সৃষ্টি হয়।