ইতিমধ্যে এমনটাই খবর আসছে, শেষমেষ লজ্জার মুখে পড়তে হলো কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। আর এই লজ্জায় পড়ে যাওয়ার মুখ্য কারণ হল একটি ১৪ বছরের বালিকার করা কয়েকটি প্রশ্ন ।আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন , রাহুল গান্ধী সভাপতি হওয়ার পরে থেকে এটি হলো তার দ্বিতীয় বার তার দুবাই ভ্রমণ।কংগ্রেস সভাপতি মাননীয় রাহুল গান্ধী দুবাইয়ের উপরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন রাশিদ এর সাথে সাক্ষাৎকার করার পরে একটি অধিবেশনে যোগদান করেন। আর এই অধিবেশনের আয়োজনের পুরো দায়িত্বটা ছিল সেখান কার জনগণের উপর। আর ওই অধিবেশনে ঘটলো একটি চমৎকার পূর্ণ ঘটনা। সেখানে রাহুল গান্ধী মোদি সরকারের বিরোধিতা করার সাথে সাথে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন।তারপরই হঠাৎ এক ১৪ বছরের বালিকা রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করার জন্য হাত তোলে। এবং ভলেন্টিয়ার ওই ছোট্ট বালিকাকে মাইক ধরিয়ে দেয়।
আরবি বালিকাটি প্রশ্ন করা মাত্রই অধিবেশনটিতে নিস্তব্ধতা সে যায়।অধিবেশনটিতে বালিকাটি রাহুল গান্ধীকে প্রথম প্রশ্ন করে, রাহুল গান্ধী তো সর্বত্রই সামাজিক বিভেদ এর উপর প্রশ্ন তোলেন, তাহলে তিনি কেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ দেখান, না যথা গুজরাটে গিয়ে মাথায় ভস্ম লাগান আবার কখনো কাশ্মীরে গিয়ে মাথায় মুসলিম টুপি লাগান ? আবার দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল আরো অবাক জনক। রাহুল গান্ধীকে মেয়েটি জিজ্ঞেস করে , কংগ্রেস প্রায় দাবি করতে থাকে যে তারা ভারতে বহু সময় রাজত্ব করে এসেছে। যদিও সে সময় তো জনকল্যাণ ও উন্নতি কিছুই দেখা যায়নি , তাহলে কি কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরলে উন্নতি হবে ? ওই ১৪ বছরের বালিকা টির করা এই প্রশ্ন রাহুল গান্ধীকে লজ্জা মুখে ফেলে দেয় এবং রাহুল গান্ধীর নিস্তব্ধতা আর ওই ছোট্ট হাসিটি আবারো বালিকাটির প্রশ্নটিকে পুরোপুরি ভাবে এড়িয়ে চলে যায়।
শুধু তাই নয়,দুবাইয়ের সংবাদ সূত্র থেকে খবর সেই মুহূর্তে কংগ্রেস সেখানে হওয়া লাইভ টেলিকাস্টটিকে বন্ধ করতে বাধ্য করে।রাহুল গান্ধী নিস্তব্ধ হয়ে গেল বালিকাটি নিস্তব্ধ থাকেনি। বালিকার হাতে মাইক থাকায় সে বলতে থাকে, এতদিন থেকে ভারত অনেকটাই জিডিপির দিক থেকে নিচে অবস্থান করত এবং প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী আসার পর থেকে ভারতের জিডিপি যেমন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ভারত অনেকটাই উন্নতি সাধন করেছে। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদীর রাজত্বে ভারতের অনেক সুনাম হয়েছে। এছাড়াও মেয়েটি রাহুল গান্ধীকে উপদেশ প্রদান করে বলে , কংগ্রেস দলকে জাতিভেদ না বাড়িয়ে একটি দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা উচিত এবং এই কাজের দ্বারাই একমাত্র জনগণের মন কংগ্রেস জয় করতে পারবে ।
রাহুল গান্ধীর লজ্জা জনক মুখটি আরও নিম্নমুখী হয়ে দাঁড়ায়, যখন ওই বালিকাটির প্রশ্নের সাথে অধিবেশনের সকল জনগণের হাততালি পুরো জোরে বেজে ওঠে। আর এ ঘটনার পর থেকে রাহুল গান্ধীকে নানা রকম সমালোচনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কেন রাহুল গান্ধী ওই মেয়েটির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না। জনগণের কংগ্রেস শিবিরের কাছে এখন একটাই প্রশ্ন, যদি দলের সভাপতি একটি বালিকার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারে তাহলে কংগ্রেস সরকার দেশ চালাবে কিভাবে? এ বিষয়ে আপনাদের কি মতামত আমাদের অবশ্যই জানান। খবরটি ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।