বর্তমান সময়ে মানুষ জন এত ব্যস্ত যে অন্যের জন্য তাদের সময় বের করা প্রায় সম্ভবই হয়না। এখনকার সময়ে মানুষ জন ঘরে বসেই সময় অতিবাহিত করতে পারে, কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এতকিছু বিনোদনমূলক ভিডিও, বিভিন্ন রকম গেম পাওয়া যায় যে তারা বোরিং ফিলিং করেনা। কারণ এখন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে একটি স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের সুবিধা থাকে। আর এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষজন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এর মত সোশ্যাল সাইট-এর সঙ্গে জড়িত থাকে। যার মাধ্যমে এমন ধরনের খবর দেখা ও শোনা যায় যা খুব রোমাঞ্চকর হয়। যদিও এর মধ্যে এমন কিছু খবর থাকে যেগুলো জেনে একটু দুঃখও হয়। আর এরই মধ্যে এমন এক খবর শোনা যাচ্ছে যে, যেটা শুনে আপনিও চিন্তায় পড়ে যাবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি এমন কিছু মানুষ জনের ব্যাপারে শুনেছেন, যারা রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছে। বর্তমান দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে যায়। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক দরকারি মানুষের সাহায্য হয়। আপনারাতো ‘বাবা কা ধাবার’ নাম শুনেছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয় আর সাহায্য দুটাই পেয়েছে। আর এ রকমই একটা ব্যাপার আহেমদাবাদে ও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ওখানকার মানুষজন দেখিয়ে দিল যে তাদের মন কত বড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন মানুষের বিচ্ছিন্ন অংশ। নেতা হোক বা কোন অভিনেতা সবাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।
এই আমেদাবাদে সোশ্যাল মিডিয়ার বিশেষ দ্রষ্টব্য দেখা গেল যখন একটি ১৪ বছরের বাচ্চার সাহায্যের জন্য সেখানকার মানুষজন এগিয়ে এসেছিল। টুইটার ব্যবহারকারী @arjunB9591 একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছিল যে, আমেদাবাদবাসী দয়া করে এই ১৪ বছরের ছেলেটির সাহায্য করার জন্য যেন এগিয়ে আসে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ১৪ বছরের একটি ছেলে কচুরি তৈরি করে প্লেটের মধ্যে কাজ করছে। তার আশেপাশের লোকজন তার তৈরি করা খাবারের স্বাদ উপভোগ করছে।
ছেলেটির কচুরি বিক্রি করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার দোকানে লোকের ভিড় বাড়তে লাগলো তার কচুরি কেনার জন্য। টুইটার ব্যবহারকারী @1992_vishesh একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে একটি বিশাল জনতা এই ছেলেটির কচুরি কিনতে দেখা যায়। ব্যবহারকারী ক্যাপশনে লিখেছেন, ছেলেটি বিখ্যাত হয়ে গেছে।ব্যবহারকারী কিছু সময় আগে লিখেছিলেন যে দয়া করে সাহায্য করুন, এই ছেলেটি মাত্র দশ টাকায় দই শর্টব্রেড খাওয়ায়। ছেলেটার দোকানটির অবস্থান মণিনগর স্টেশন, আহমেদাবাদ। এই ভিডিওটির উদ্দেশ্য তাকে ও তার পরিবারকে সাহায্য করা। এই ধরনের শিশুদের জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত, কারণ এরা খুব ছোট বয়স থেকেই কিছু করার সামর্থ্য রাখে।