ভারতে ৫জি স্পেক্ট্রাম নিলাম শুরু হয়েছে। টেলিকম সংস্থাগুলির পাশাপাশি অনেক নতুন খেলোয়াড়ও এতে বাজি খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নতুন খেলোয়াড়ের প্রবেশের জন্য নিলামে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেতে পারে। ৫জি চালু হওয়ার পর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ছোট ছোট পরিবর্তন আসবে। আজ আমরা এরকম কিছু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আসুন জেনে নেওয়া যাক ৫জি আসার পর নতুন কি হবে সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারতে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৬শে জুলাই ৫জি নিলাম শুরু হয়েছে।
দেশের তিনটি বড় টেলিকম কোম্পানীর পাশাপাশি অন্যান্য খেলোয়াররা ৫জি স্পেক্ট্রাম নিলামে অংশ নিচ্ছে। এতে জিও, ভিআই এবং এয়ারটেলের সাথে গৌতম আদানির আদানি ডাটা নেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে আদানি এবং আম্বানির যুদ্ধ দেখা যাবে। যদিও দুজনের মধ্যে সরাসরি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও ভবিষ্যতে বিরোধ দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকের মনে একটা প্রশ্ন আসে যে, ৫জি আসার পর নতুন কি হবে? একজন সাধারণ মানুষের ওপর এর কি প্রভাব পড়বে? আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি কোনো নতুনত্ব দেখা যাবে? এই সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পরেই পাওয়া যাবে।
২০০০ দশকে বেশিরভাগ মানুষ ২জি এবং ৩জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতেন। ভারতে ৪জি প্রবেশের পরে ইন্টারনেট গতির একটি নতুন মাত্রা খুলেছে। লোকেরা শুধুমাত্র ৪জির পরে ভিডিও কলিং এবং লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মতো উচ্চ গতির জিনিসগুলো উপভোগ করতে পেরেছেন। একইভাবে ৫জি নেটওয়ার্ক আসার পরে আমরা অনেক নতুন জিনিস দেখতে পাবো। অনেক লোকের জন্য ৫জি মানে দ্রুত ইন্টারনেট গতি। ৪জি নেটওয়ার্কে আমরা ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি পাই, কিন্তু ৫জিতে এই গতি জিবিপিএসে পাওয়া যাবে। আমরা এই নেটওয়ার্কের উপর ব্র্যান্ডগুলিতে ১০০ গুন বেশি গতি পেতে পারি। ৫জি নেটওয়ার্কেও আমরা ভালো কলিং অভিজ্ঞতা পাবো।
কল ড্রপের সমস্যাও কম হবে। এর মাধ্যমে টেলিকম কোম্পানীগুলি নেটওয়ার্ক বাড়ানোর আরেকটি বিকল্প পাবে। ৫জি নেটওয়ার্ক ৪g থেকে ১০০ গুণ বেশি দ্রুত হবে, অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা উচ্চমানের ভিডিও, আলট্রা হাই রেজোলিউশন ভিডিও কলিং এবং অন্যান্য অনেক সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে আমরা শুধু ইন্টারনেট স্পিডই নয়, প্রযুক্তির অনেক নতুন মাত্রা আমাদের জন্য খুলে যাবে। মেটাভার্সের মতো নতুন প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে, তবে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হতে এবং সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছতে সময় লাগবে। বড় শহরগুলিতে এই প্রযুক্তি শীঘ্রই পাওয়া যাবে, তবে গ্রাম ও ছোটো শহর এই প্রযুক্তি পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।