এই খবরটি শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। মোহাম্মদ রশিদের মেয়ে তার বাবার কাছে একটি সাইকেল চেয়েছিল। তার বাবা এক বছরে 3000 টাকা জমিয়ে তাকে সাইকেল কিনে দেয়। মোহাম্মদ রশীদ পেশায় অটোচালক। তিনি হঠাৎ জানতে পারলেন তাঁর ব্যাংকের একাউন্টে 300 কোটি টাকা আছে। এই খবরটি জানতে পেরে তার চোখ কপালে উঠে যায় রীতিমত তিনি আধমরা হয়ে যায়। তার স্ত্রী তো অসুস্থ হয়ে পড়লেন।পাকিস্তানের এই অটোচালককে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ফোন করেন। তার নামে এত টাকা একাউন্টে রয়েছে বলে তিনি ভয়ে লুকিয়ে পড়েন।রশিদ বললেন,”এই খবরটি শোনার পর আমি তো পুরো ঘামছিলাম। আমি একটাই কথা ভাবছিলাম যদি কোন অফিসার এসে আমাকে ধরে নিয়ে চলে যায়।
তাই আমি অটো চালানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম।এমনকি আমার স্ত্রী এই খবরটি শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।”কয়েক মাস আগে গরি ভট্টা চালক তার মেয়ের জন্য এক বছর ধরে দিনের টাকা জমিয়ে সাইকেল কিনে দিয়েছিল সে যদি এত টাকা একাউন্টে রয়েছে খবর শুনে তাহলে এটা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।বন্ধুদের পরামর্শে রশিদ তদন্তকারী অফিসারকে সব কিছু বলেন এবং তাদের সাহায্য করেন। কিন্তু তদন্ত করে জানা যায় বেনামে টাকা সরানোর দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন এই অটোচালক রশিদ। পাকিস্তানি এরকম আরও কোটি কোটি টাকা বেনামে সরানো হয়েছে। পাকিস্তানি সরকার পুরোপুরি তদন্ত করছে।
বরং পাকিস্তান সরকার তদন্ত করার পর রশিদ এর মত অনেকেই এরকম একাউন্টে এত টাকা রয়েছে অথচ তারা জানেনই না তাদের একাউন্টে এত টাকা আছে।প্রাথমিক তদন্ত করে অফিসাররাও রশিদকে মুক্ত করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন,”এগুলি গরিব মানুষের নয় ছয় করার টাকা। সরকারের প্রকল্পের টাকা চুরি করে এরকম ভাবে নয় ছয় করা হচ্ছে। এই চক্রের মূল অপরাধীদের দ্রুত ধরা হোক আমি কোন দুর্নীতিবাজ দেশের সহ্য করব না।”